তথ্যচিত্রটি কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে আঘাত হেনেছে...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করেছে বিখ্যাত সংবাদ সংস্থা বিবিসি (BBC)। ওই তথ্যচিত্রের দুটি অংশ। প্রথম অংশটি ইতিমধ্যেই সম্প্রচারিত হয়েছে। এবার বিবিসি যাতে দ্বিতীয় অংশ সম্প্রচার না করে, তাই কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেন ব্রিটেনের উচ্চকক্ষের এক সদস্য।
মঙ্গলবার মুক্তি পায় মোদিকে নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র- ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চান। তথ্যচিত্রটিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্ষমতায় আসার যাত্রাপথ তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে গুজরাট (Gujarat) হিংসার কথাও। ওই তথ্যচিত্রের সমালোচনায় ইতিমধ্যেই মুখর হয়েছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অফ লর্ডসের সদস্য লর্ড রামি রাংগার। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, এই তথ্যচিত্রটি কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মোদি, ভারতের পুলিশ ও ভারতের বিচার ব্যবস্থাকে এর মাধ্যমে অপমান করা হয়েছে। হিংসায় জীবনহানি হয়। হিংসা কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়।
আরও পড়ুুন: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!
তবে বিবিসি (BBC) যেভাবে তথ্যচিত্র তৈরি করেছে, তার কড়া নিন্দা করছি। তথ্যচিত্রটির দ্বিতীয় অংশটি যাতে সম্প্রচারিত না হয় তাই বিবিসির ডিরেক্টর জেনারেল ব্রডকাস্টিং হাউস টিম দাভেইকে চিঠি লিখেছেন হাউস অফ লর্ডসের সদস্য ডলার অমর্ষি পপাট। তিনি জানিয়েছেন, ব্রিটিশ হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তাই এখনই সম্প্রচার বন্ধ করা হোক। কেবল তাই নয়, বিবিসি কর্তৃপক্ষকে তিনি এই উপদেশও দিয়েছেন যে যা সম্প্রচার করা হচ্ছে, তার সত্যাসত্য যাচাই নিশ্চিত হতে হবে। বিবিসিকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, বিবিসির (BBC) তথ্যচিত্রটি দেখে তিনি আঘাত পেয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২০০২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময়ের হিংসার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি তথ্যচিত্রটি সম্প্রচারিত হয়েছে। তিনি লিখেছেন, তথ্যচিত্রটি ভীষণভাবে একপেশে হয়েছে গিয়েছে। হিংসার ঘটনার পরের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা এবং সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। সেই কারণেই ভারতবাসীর আস্থা অর্জন করে তিনি ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এর পরেই তিনি বিবিসি কর্তৃপক্ষকে ঘটনার সত্যাসত্য যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছেন।
Tags: